-
পড় তোমার সিনামার নামে, যে তোমাকে মুক্তি দিবে
“ভাবো, ভাবাটা প্র্যাক্টিস কর”। -ঋত্বিক কুমার ঘটক সর্বসত্ব নাসিব আহসান দ্বারা সংরক্ষিত অনেক বড় আর অপার সম্ভাবনায় সিনেমার শুরু। অনেক গুলো শিল্প মাধ্যম মিলে আজকের সিনেমার ভিত্তি তৈরি হয়েছে। গুণ বিচারে দেখা যাবে নানান গুণে গুণান্বিত এই মাধ্যম দ্রুত গণ মানুনের কাছে পৌছে দেয়া সম্ভব। সুতরাং যুগের পরিক্রমায় এর চল ও প্রসার অনেক বেড়েছে। বিশ…
-
নামহীন ১
তারা অনেক কম বয়সত কাম করিয়ার আইচ্ছে অর আলম চাচার বাড়িত। বাড়িত মানশি হইল আলম চাচা, চাচী আর ওমার তিন বেটা আর চাইর বেটি। বড় চেংড়াটা অবশ্য এলা বিয়া কইচ্চে, একখান নাতি আছে। আরেকখান বাচ্চা নিবার চাহেছে কিন্তু হছে না এই নিয়া ওমার মেলা চিন্তা। তারা অবইশ্য এইলাত তেমন পাত্তা দেয় না। দিনে খালি তিন…
-
নামহীন ২
রাস্তাত মেলা মানশি। হাটিবার যায়া খালি খেয়াল থুবার নাগে না হইলে গর্তের ভিতরত পড়ি যাওয়ার নাগিবে। ঢাকাত মেলা কাপড়ের দোকান, বাড়ি ফিরিবার বেলা দেখিনু একখান দোকান উঠি গেইছে। বাড়িওয়ালা টুলেট ঝুলি দিছে। ঐ কাপড়ের দোকান হইতে মুই একখান আলিগড়ি পায়জামা কিনিছিনু চাইরশ টাকা দিয়া। পায়জামা খান মুই এখনও পড়ো। যদিও গত কুরবানি ঈদত গোশ্তের সরুয়া…
-
নামহীন ৩
মাথার উপরে একঘর বড় ইদুরের বাস। সারাদিন খুটখাট লাইগাই আছে। আমার বাসায় চাল আবার টিনের, গরম ঠেকানোর লাইগা বাড়িওয়ালা হার্ডবোর্ড লাগায় দিছে। সেইখানে ইদুর গুলান মুইতা মুইতা এক রকম রবিন্দ্রনাথের চেহারা বানাইছে। আমি প্রত্যেকদিন রাইতে অগো দৌড়াদৌড়ি আর খুটখাট শব্দ শুনি ভাবি কোন্দিন না হার্ডবোর্ডটা ভাইংগা আমার মুখেই ওরা পইড়া যায়, বাবাজি গো তলায় আমি…
-
নামহীন ৪
শেভ করিয়া বাড়িত আশিনু। যদিও মোর দাড়ি মোছ তেমোন গোজায় না। তাও এগনা করিনু ফেরেশ নাগিবার তেনে। গোছোল করিম, আইজ আবার মোহাম্মাদপুর যাবার নাগিবে। কালি সানি ভাইর সাতোত কোথা হইল। অয় ডাকাইলে ক্যানবা। কি বেলে কাম আছে কইল। বাইর হয়া চা খাবার যায়া মনে পড়িলে মাছকিলা ফুপু মোবাইল কইচ্ছিলো পরশু, ওমার বেটার সাইন্স প্রোজেক্টের তেনে।…
-
একজন স্ত্রী মোশা
পুরুষ মোশার গাত জ্বর। কাইল কোঠে জানি ফলের রস খায়া এই মতন হাল কইচ্ছে। আইজ আর ব্যারেয়ার পাছে না। স্ত্রী মোশা বাহিরত যাবে, রেডি হছে। কয়েক দিন হইল ওমরা এক সাথোত থাকে। তামান মোশালা কছে তোমাক ভালো মানাইছে বাহে। সুখে শান্তিত এলা ঘর করো। তা এমরা ক্যানবা ভাবেছে বাচ্ছা নিবে না। বাচ্চা পালা ঝামেলা। যায়ে…
-
নামহীন ৫
মুই আর ফারুক। রিক্সাত যাছো। কাওরান বাজার থেকিয়া নিকেতন।অয় কছে অত্তি যাবার বলে অক ভয় নাগেছে। কোঠেও তো বেড়ায় না ঐ হাতিরপুল ছাড়া। ফির কছে শ্যাষ বয়সত যদি কাখো না পায় বা কিছু নাও থাকে তাইলেও বলে অয় মরিলে হাতিরপুলের রাস্তাতে মরিবে। ফারুকের এলা বয়স ৪২। একা মানশি। থাকে একখান মেসোত। এখে রুমোত…
-
নামহীন ৬
ডাইনোসরের ডিম কাল থিকা কালে আলু হইয়া আমাদের খাওনের মেনুতে এড হইছে। সে আলু আমরা মাছে গোশে, সব ছালুনের লগে খাই। কথা গুলা কাশেম তার পোলারে কইছে, কারন কাশেমের পোলা ডাইনোসরের ডিম খাইতে চাইছিলো। সে কয়, মুগরগীর ডিম খাইতে তার আর ভাল্লাগে না প্রত্যেকদিন। ডাইনোসর তো বড় তাইলে ডিমটাও বড় হইবো সবাই মিল্লা একটা ডিম…
-
হিউমিড কিছছা | ২
বৃষ্টি নিয়া অনেকবার ভাবছি লিখবো। কিন্তু ক্যান জানি লেখা হয় নাই আর। এর মধ্যে কতো বৃষ্টি জীবনে আইসা চইলা গেলো। রঠার কতো গান বাজলো আমার বাড়িতে টেপ থিকা সিডি, সিডি থিকা পিসি। এইসকল গান তেমন শুনতে ভালো না লাগলেও গাইতে খারাপ লাগে না। আসলে বৃষ্টি বিলাসের সুযোগ হয় নাই তেমন স্কুলে থাকার কালে প্রায়ই বৃষ্টিতে…
-
“বর্ষার কালে”
তখন মাস ছয় পার হইয়া গেছে আমরা নতুন বাড়ি ভাড়া লইছি। আসার কালে আমার তেমন কিছুই আছিলো না। ল্যাংটায় আইছি এক প্রকার। পরের টাকা খাইয়া সম্পদ গড়ছি। বেড সিংগেল টা ইউজ করতেছি। কাম টাম করি রাত্রে বিছানায় মাথা দেই কোল্বালিশ জড়াইয়া। এই আমার জীবন। বাড়ি যেই বেলা ভাড়া নিছি কারণ একটাই ছাদের ঘর টিনের চালা।…